Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জরুরী স্বাস্থ্য সেবা হট-লাইন ১৬২৬৩, জরুরী সেবা ৯৯৯ , সরকারী তথ্য ও সেবা ৩৩৩ , দুর্নীতি দমন কমিশন হেল্পলাইন ১০৬ , দুর্যোগ প্রারম্ভিক সতর্কতা ১০৯০


প্রশিক্ষণের বিস্তারিত

১। টিকাদান ও ইপিআই প্রশিক্ষণ:  

 * কোল্ড চেইন ম্যানেজমেন্ট: টিকার সঠিক সংরক্ষণ, শৃঙ্খলা এবং পরিবহনের প্রক্রিয়া শেখানো হয়, যাতে কার্যকর ও নিরাপদ টিকা প্রদান নিশ্চিত হয়।  

*  টিকা প্রয়োগ ও ফলাফল পর্যবেক্ষণ: টিকা দেওয়ার সঠিক কলা-কৌশল ও টীকাদান পরবর্তী বিরূপ ঘটনা (AEFI) পর্যবেক্ষণ করার উপর জোর দেওয়া হয়।  

* আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ: স্থানীয় জনগণের মধ্যে টিকাদানের গুরুত্ব বোঝাতে এবং ভয় বা ভুল তথ্য দূর করতে কার্যকর যোগাযোগ কৌশল শেখানো হয়।


২। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা:  

* প্রসব-পূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা: মিডওয়াইফ, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে মা ও শিশুর যত্ন, ঝুঁকি মূল্যায়ন, এবং জরুরি অবস্থার সনাক্তকরণে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।  

* নবজাতক ও শিশুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শিশুর ওজন, উচ্চত, পুষ্টি ও অন্যান্য মৌলিক স্বাস্থ্য সূচক (IMCI-N) পর্যবেক্ষণ এবং পুষ্টি সেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


৩। প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি সেবা:  

* ইমার্জেন্সি রেসপন্স ও ট্রায়াজ কৌশল: দুর্ঘটনা বা আকস্মিক রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সেবা, দ্রুত চিকিৎসার প্রক্রিয়া ও ট্রায়াজ সিস্টেম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।  

* জীবন বাঁচানোর কৌশল (BLS,CPR,ACLS), : জরুরি অবস্থায় রোগ এর প্রতি সাড়া দেওয়ার দক্ষতা ও প্রাথমিক চিকিৎসা কৌশল তৈরি করা হয়।


৪। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও স্যানিটেশন:  

* ইনফেকশন প্রিভেনশন প্রটোকল: পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) ব্যবহার, স্টেরিলাইজেশন, ময়লারোধ ব্যবস্থা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের অন্যান্য প্রোটোকল শেখানো হয়।  

* হাইজিন ও স্যানিটেশন প্রশিক্ষণ: হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার গুরুত্ব বোঝানো হয়, বিশেষ করে এপিডেমিক পরিস্থিতিতে।


৫। স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও রিপোর্টিং:  

* ডেটা সংগ্রহ ও নিরীক্ষণ: স্বাস্থ্য সূচক, রোগের বিস্তার ও বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলাফল পর্যবেক্ষণের জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও ডাটা বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া শেখানো হয়।  

* মাইক্রোপ্ল্যানিং ও ফলাফল রিপোর্টিং: স্থানীয় জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুধাবনের উপায় ও কার্যকরী পরিকল্পনা তৈরি করার কৌশল শিখানো হয়।


৬। সচেতনতামূলক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচারণা:  

* সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য: জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কার্যকরী যোগাযোগ কৌশল, কর্মশালা, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।  

* স্থানীয় স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন: বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা (যেমন: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ইত্যাদি) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়।


৭। প্রশাসনিক ও পরিচালন দক্ষতা উন্নয়ন:  

* স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রয়োগ: আধুনিক প্রশাসনিক পদ্ধতি, নীতি ও নির্দেশিকা প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নয়নের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।  

* অফিস ও ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট: বাজেট পরিকল্পনা, সরবরাহ চেইন ও সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনের পদ্ধতি নিয়ে অফিস সহকারী, ক্যাশিয়ার, হিসাবরক্ষক, স্টোরকিপারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।


প্রতিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থানীয় স্বাস্থ্য চাহিদা ও বাস্তব সমস্যার ভিত্তিতে সাজানো হয়, যাতে কর্মীরা কার্যক্রম বাস্তব জীবনের সমস্যার মোকাবেলা করতে সক্ষম হন